কক্সবাজার, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

থানায় পুলিশের সামনে সাংবাদিকদের হুঙ্কার সেই সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মুন্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আশু আলী অধ্যায়ের পর শহরের ত্রাস হয়ে উঠে মুন্না। প্রায় ১৯ টি মামলা মাথায় নিয়ে দাপটের সাথে ছিনতাই, মাদক কারবার, জমি দখলসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে।
অবশেষে সেই মুন্নাকে আটক করেছে পুলিশ। কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে একটি এক নলা বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এই অভিযানে আরো বেশ কয়েকজন অপরাধীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকেও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের বক্তব্য শেষে একে একে অপরাধীদের নিয়ে আসা হয়। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের হুঙ্কার দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না বলেন, “কর কর ভালো করে ভিডিও কর, দেখবি অবস্থা কি হয়”।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, আশু আলীর মৃত্যুর পর রুমালিয়ারছড়া, সমিতিাবাজার, মাটিয়াতলী, পাহাড়তলী, আবু উকিলের ঘোনা, জেলগেট সহ পুরো এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মুন্না। মুন্নার গ্রুপে ২০/২৫ জন সক্রিয় সন্ত্রাসী রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের দিকে শহরের শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর জোহারের সাথে যৌথভাবে বাহিনী গড়ে তুলে মাথাছাড়া দিয়ে উঠে মুন্না। পরে ২০১৯ সালে নুর জোহারের মৃত্যুর পর আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আবছারের সাথে বাহিনী গড়ে তুলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে মুন্না।
সম্প্রতি কক্সবাজার শহরে বেড়েছে ছুরি ছিনতাই সহ নানান অপরাধের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করতে গিয়ে সর্বস্থ লুটে নেয় সাধারণ মানুষের। এমনকি কয়েকদিন আগে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণও হারিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্রুত সকল অপরাধীদের আওতায় আনা হবে। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।

পাঠকের মতামত: